প্রকাশিত: Wed, May 29, 2024 3:16 PM
আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 2:06 AM

গত চল্লিশ বছরে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনে যে পরিমাণ টাকা খরচ হয়েছে, তা দিয়ে চীনের প্রাচীরের কাছাকাছি কিছু একটা করা যেতো!

সুমন্ত আসলাম

‘দা রেইন’ নামে একটা সিনেমা আছে আমাদের দেশে, যার চমৎকার একটা বাংলা নাম আছে যখন বৃষ্টি এলো। ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমায় অন্যতম অশ্লীল একটা গান আছে মনে মনে যৌবনে লাগলো আগুন, জল দিলে নেভে না জ্বলে যে দ্বিগুণ। এই গানের ৫ ও ৬ নম্বর  লাইন দুটো অধিক অশ্লীল। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস এই গানটি লিখেছিলেন আমাদের সকলের প্রিয় স্বনামধন্য গীতিকার গাজী মাজহারুল আনোয়ার, গেয়েছেন রুনা লায়লা। এই অশ্লীলতার ব্যাপারে আমার সাথে দ্বিমত থাকতে পারে অনেকের, তবে নবম শ্রেণিতে পড়া আমার মেয়েকে যদি কখনো এই গানটি শুনতে দেখি, তাহলে আমি লজ্জা পাবো, আমার বিশ্বাস আমার উপস্থিতিতে আমার মেয়েও লজ্জা পাবে।  [২] দা রেইন, যখন বৃষ্টি এলো তারপর আমাদের চোখে কিছু মানুষের অশ্লীল চেহারা ভেসে ওঠে। গত চল্লিশ বছরে এই বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য যে পরিমাণ টাকা খরচ করা হয়েছে, তা দিয়ে চীনের প্রাচীরের কাছাকাছি কিছু একটা করা যেত আমাদের দেশে। অথচ আমাদের এই ঢাকাতে, চিটাগাংয়ে এখনো তেমন ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। বৃষ্টি এলেই ডুবে যায় পুরো শহর, আফ্রিকান মাগুর মাছ উঠে আসে আমাদের ঘরে। তাহলে এতো টাকা গেলো কোথায়, যায় কোথায়?  [৩] স্রষ্টা বড় দয়াময়, তিনি উত্তম বিচারক। ইতিহাস সাক্ষী তিনি একেকটা জাতি ধ্বংস করেছেন একেক কায়দায়, আমাদের ধ্বংস করবেন বৃষ্টির পানিতে। আমরা একদিন দেখব কোনো কোনো মানুষের মাথা দেবে আছে পানিতে ডোবা ভাঙা ড্রেনে, কেউ কেউ এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছে চোখ-মুখে আতংক নিয়ে, ডুবে মরে আছে কেউ কেউ কোটি টাকার গাড়ির ভেতরের বৃষ্টির পানিতে।  সবশেষে আমরা লক্ষ্য করব বৃষ্টির পানির তোড়ে আমাদের সবার পরনের কাপড় খুলে গেছে, আমরা আরও অবাক বিস্ময়ে খেয়াল করব ন্যাংটো সবার দিকে আমরা পরস্পর তাকাচ্ছি, তাকিয়ে আছি, কিন্তু এতে কোনো অশ্লীলতা অনুভব করছি না আমরা, অশ্লীল মনে হচ্ছে না কোনো কিছু। ফেসবুক থেকে